সরকারি চাকুরির প্রস্তুতি গাইডলাইন-ইইই
কিভাবে পরীক্ষা হয়?
৩টি পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ঃ
১) প্রিলি > লিখিত> ভাইভা (পিএসসি, NTRCA)
২) প্রিলি > ভাইভা (MES, IBA)
৩) লিখিত > ভাইভা (বুয়েট, MIST, DPI, KUET, RUET-সহ অন্য সব কেন্দ্রে)
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় শুধুমাত্র নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। (৩)-নং অপশনের লিখিত সকল পরীক্ষায় ডিপার্টমেন্ট অংশ লিখিত থাকে এবং নন-ডিপার্টমেন্ট নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন থাকে। বুয়েটের পরীক্ষায় ডিপার্টমেন্ট নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন থাকতে পারে। ঢাকা পলিটেকনিকের পরীক্ষায় কোন নৈর্ব্যত্তিক থাকে না। নন-ডিপার্টমেন্ট অংশে ‘এক কথায় উত্তর’ প্রশ্ন থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ, ব্যাংক, পিএসসি, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন নিয়োগ এবং স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহিত লিখিত পরীক্ষায় নন-ডিপার্টমেন্ট থেকে রচনামূলক প্রশ্ন থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট, রুয়েট) অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় নন-ডিপার্টমেন্ট অংশ থেকে রচনামুলক প্রশ্ন থাকে না।
কি পড়বেন?
সাধারণত ২টি প্যাটার্নে (বুয়েট, পিএসসি) প্রস্তুতি নিলেই, সব পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সিলেবাস সম্পন্ন হয়ে যায়। নন-ডিপার্টমেন্ট যা পড়তে হবেঃ
১) বাংলা
২) ইংলিশ
৩) সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী)
৪) গণিত
উপরোক্ত ৪টি সাবজেক্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আরো যে সকল সাবজেক্ট পড়তে হবেঃ
৫) মানসিক দক্ষতা
৬) দৈনন্দিন বিজ্ঞান
এর বাহিরে কিছু পরীক্ষায় নিম্নোক্ত সাবজেক্ট থেকে প্রশ্ন পাবেনঃ
৭) পাওয়ার সেক্টর
নন-ডিপার্টমেন্ট কিভাবে পড়বেন?
প্রস্তুতির শুরুতে নিম্নোক্ত সাবজেক্টগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। পাশাপাশি বিশাল সিলেবাসকে ২-৩দিনে রিভাইজ দেয়ার উপযোগী করে মার্কস করে নিবেন অথবা শর্ট করে নিবেন অথবা নোট বানিয়ে নিবেন।
১) বাংলাঃ প্রফেসর/MP3/Oracle/কনফিডেন্স-এর প্রিলি বাংলা বই পড়ুন।
-পিএসসি এবং বিসিএস পরীক্ষার জন্য সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সকল ধরনের পরীক্ষার জন্য ব্যাকরণ অংশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকরণ অংশে প্রচুর প্রশ্ন দেয়া। তাই নিজের মত করে নোট বানিয়ে নিবেন উদাহরনসহ। যেন পরীক্ষার পূর্বে ২-৩দিনে রিভাইজ দেয়া যায়। প্রতিটি পরীক্ষার পূর্বে একবার পুরো সিলেবাস রিভাইজ দিতে হবে।
২) ইংলিশঃ English for Competitive Exam, Master-Jahangir Alam, MP3-English
-পিএসসি ব্যতিত সকল পরীক্ষায় English Grammar-অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। কয়েকটি টপিক থেকেই প্রশ্ন বেশি আসে।
৩) সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী)- প্রফেসর/MP3/Oracle/কনফিডেন্স-এর প্রিলি বাংলাদেশ বিষয়াবলী এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ২টি বই পড়ুন।
– সম্পূর্ণ মুখস্থ করা ও মুখস্থ রাখার বিষয়। তবে নিমোনিক ও চিত্র সহকারে পড়লে সহজে মনে রাখা সম্ভব।
৪) গণিতঃ খাইরুল’স Math / MP3 Math
– সুত্র ও ম্যাথ সমাধানের টেকনিক মনে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সুত্র নোট করে নিতে হবে। প্রথমবার সব ম্যাথ করবেন, অপ্রয়োজনীয় ম্যাথ বাদ দিয়ে এবং একই সুত্রের ম্যাথ একটি করে বাছাই করবেন পরবর্তীতে রিভাইজ দেয়ার জন্য।
৫) মানসিক দক্ষতাঃ প্রফেসরস/কনফিডেন্স মানসিক দক্ষতা পড়তে পারেন। তবে বুয়েটের পরীক্ষায় Indiabix/Examveda ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন আসে।
-গণিতের আধুনিক সংস্করন হচ্ছে মানসিক দক্ষতা। মুলত ম্যাথের সমীকরণটি কথায় দেয়া থাকে। ম্যাথ পড়ে সমীকরণ ও সমাধান নির্ণয় করাই কাজ। বুয়েটে ভারতীয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফলো করে। তাই Indiabix এবং Examveda ওয়েবসাইট থেকে প্র্যাক্টিস করতে পারেন।
৬) দৈনন্দিন বিজ্ঞানঃ প্রফেসর/MP3/Oracle -এর প্রিলি দৈনন্দিন বিজ্ঞান বই পড়ুন।
নন-ডিপার্টমেন্ট কিভাবে পড়বেন?
১) প্রথমে বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করুন। বিষয়ভিত্তিক সমাধান করুন। যেমনঃ প্রথমে ডিসি সার্কিটের বিগত সালে পরীক্ষায় আসা সব প্রশ্ন সমাধান করুন। পাশাপাশি টপিক অনুযায়ী ম্যাথগুলো ভাগ করে নিন।
২) প্রতিটি টপিকের সুত্রগুলো নোট করুন। পাশাপাশি টপিকের ম্যাথ নাম্বারগুলো নিচে লিখে রাখুন ।
৩) থিউরি নোট করে নিতে পারেন।
৪) এখন মূল বই ও গাইড প্র্যাক্টিস করুন ।
৫) অবশ্যই ম্যাথগুলো টপিক অনুযায়ী নোট করে নিবেন। অথবা সুত্রের শেষে লিখে রাখবেন।
কিছু প্রয়োজনীয় বইয়ের লিস্ট
1. Fundamental of Electric circuits — Alexander & Sadiku
2. Electronic device & Circuit theory – Boylested
3. A textbook of Electrical Technology Vol-2— B.L. Thereja
4. Modern digital communication systems– B.P.Lathi
5. Principle of power system — V.K.Mehta
পাওয়ার সেক্টরের জন্য কিভাবে পড়বেন?
পরীক্ষার পূর্বে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, BPDB, Power Division, SREDA, Power Cell এর ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন তথ্য নোট করুন। নন-ডিপার্টমেন্ট যতই পড়বেন, ততই ভুলবেন। তাই প্রথমবার পড়ার সময় নোট করে পড়তে পারেন। উপরে সাবজেক্টগুলোর একটি করে বই থেকে কিনুন। একটি করে সাবজেক্ট শেষ করুন। এভাবে সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করার পরে, অন্তত ২বার রিভাইজ দিন।
সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করার পরে করনীয় কি?
১) প্রথমবার সম্পূর্ণ সিলেবাস রিভাইস দেয়াকালীন অবশ্যই রিভাইজের উপযোগী করে সিলেবাস নিজের মত গুছিয়ে নিতে হবে।
২) এরপরে অন্তত ২বার রিভাইজ দিতে হবে। পাশাপাশি ২-৩দিনে শেষ করা যাবে, এমনভাবে সিলেবাস গুছিয়ে নিতে হবে।
৩) প্রতিটি পরীক্ষার পূর্বে একবার নন রিভাইজ দিবেন।
8) School of Engineers-এর গ্রুপে দেয়া পরীক্ষার প্যাটার্ন অথবা যে পরীক্ষার নোটিশ দিবে, সেই পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্ন দেখে শুধুমাত্র সেসব টপিক রিভাইজ দিন।